বরাবরের মতো চট্টগ্রামের জব্বারের বলী খেলায় উখিয়ার শামসু বলীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরে এসেছেন। এইতো মাত্র কয়েকদিন আগের কথা। কিন্তু সেই শামসুকে কক্সবাজারের ডিসি সাহেবের বলীখেলায় হারাতে পারেনি দিদার। উপরন্তু ৪৩ মিনিটের খেলার অধিকাংশ সময় দিদার বলীকে থাকতে হয়েছে শামসুর বলীর বাহুতলে। এমনকি কয়েকবারতো ঝুঁকির মুখেও পড়েছিলো দিদার। তবে শেষ পর্যন্ত আর কেউ হারেনি। তাই গতবারের মতো এবার দিদার-শামসু দু’জনকে যুগ্ম-চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করতে বাধ্য হলেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ডিসি সাহেবের বলীখেলায় ঠিক বিকাল সাড়ে ৫টায় ১নং খেলা হিসেবে দিদার-শামসু উত্তেজনাকর খেলা শুরু হয়। শুরুতে দু’জনে সমানভাবে খেলে। কিন্তু ১৫ মিনিটের মধ্যে দিদারকে বাহুতলে করে ফেলে শামসু। দিদার উপুড় হয়ে পাথরের মতো পড়ে ছিল যেন! এভাবে ১২ পর্যন্ত চলে। এই সময়ে দিদারকে কুপোকাত করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালায় শামসু। কিন্তু দিদারের বলের কাছে তিনি পেরে উঠছিল না। শেষ পর্যন্ত খেলা বিরতি দেন আম্পায়ার। ৫মিটিন বিরতির আবার শুরু হয় খেলা। আবার দু’জনে সমান সমান খেলে। কিন্তু ৬ মিনিটের মাথায় দু’জনের বনিবনা না হওয়ায় খেলা আবার বিরতি দিতে বাধ্য হয়। পরে ৫ মিনিটের সময় বেঁেধ দিয়ে আবার শুরু হলে এবারও দু’জনে সমান খেললেও শেষ মুহুর্তে গলায় হাত দিয়ে চেপে ধরার অভিযোগ তুলে খেলা ভেঙে দেয় শামসু। এসময় তিনি শ্বাস নিতে বাধপ্রাপ্ত হয়ে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত সময় শেষ হওয়ায় দু’জনকে যুগ্ম-চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
খেলায় দ্বিতীয় খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন চকরিয়া জীবন বলী এবং তৃতীয় খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মহেশখালীর মো. হোসাইন বলী। খেলার শেষে বলীদের মাঝে ট্রপি ও পুরস্কার তুলে দেন। খেলায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন প্রমুখ। সিবিএন
পাঠকের মতামত: